শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নয়নাভিরাম ফুল “কচুরিপানা” তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
লালমনিরহাটে ধরলা নদীর ভাঙনে ছোট হচ্ছে মোগলহাট ইউনিয়ন

লালমনিরহাটে ধরলা নদীর ভাঙনে ছোট হচ্ছে মোগলহাট ইউনিয়ন

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন সংলগ্ন ধরলা নদীতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে ক্রমেই ছোট হচ্ছে ইউনিয়নটি। বিগত কয়েক বছরে ওই ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ধরলায় বিলীন হয়েছে। প্রতিদিনই ধরলা গ্রাস করছে বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি। ভাঙন কবলিত অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক দশকে এই ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ধরলা নদীতে হারিয়ে গেছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ২৭হাজার ১শত ৮৮জন। কিন্তু ভোটদানে উপস্থিতির সংখ্যা আনুপাতিক হারে অর্ধেক। ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি মৌজার মধ্যে ৬টি (কর্ণপুর, ফলিমারী, কুরুল, বুমকা, ইটাপোতা, খারুয়া) নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। অর্ধেক ভোটার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এখানে বর্ষা মৌসুমে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও ভাঙন ঠেকানো যায় না। আর শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীরবতা পালন করে। ভাঙন ঠেকাতে সরকারের কাছে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা চায় মোগলহাট ইউনিয়নবাসী।

 

সরেজমিন মোগলহাট ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত কর্ণপুর, ফলিমারী, কুরুল, বুমকা, ইটাপোতা, খারুয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখনও নদী তীরের বাড়িগুলো আছে। কখন ধসে যায় তা দেখতে উদাস চোখে তাকিয়ে আছে বাড়ির কর্তারা। ওয়াবদা বাঁধ ও রেলওয়ে লাইনের ধারে হাজার হাজার মানুষ মাথা গোজার ঠাই করতে বাড়ী করেছে।

 

ধরলা নদীর ভাঙনের স্বীকার মানুষগুলো বলেন, হামরা এ্যালা নিঃস্ব হয়া গেছি। হামরা পথের ভিখারী হয়া গেছি। হামারগুলার মাথা গোজার ঠাই নেই। আর সেই সাথে রাত কাটে নির্ঘুম। ঘরের উঠানে চলে এসেছে নদী। যে কোনো মুহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আতঙ্ক আর উদ্বেগে সময় কাটছে পরিবারের লোকজনের।

 

প্রসঙ্গত, ধরলা নদীর ভাঙনে মোগলহাট ইউনিয়ন ছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলার আরও ২টি (কুলাঘাট ও বড়বাড়ী) ইউনিয়নে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone